22907

এশিয়ায় প্রথম ১২-১৮ বছর বয়সীদের করোনা টিকা দিচ্ছে সিঙ্গাপুর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের করোনা টিকা দেওয়া শুরু করেছে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুর। মঙ্গলবার থেকে দেশটিতে শুরু হয়েছে এই টিকাদান কার্যক্রম।

দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফাইজার-বায়োএনটেক ও মডার্নার করোনা টিকা এই কর্মসূচিতে ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি করোনা টেস্টিং ও ট্রেসিংও বাড়ানো হয়েছে।

ads

স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, সম্প্রতি দেশটির কয়েকজন স্কুল শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

করোনা মোকাবেলায় এ পর্যন্ত বিশ্বের যে কয়েকটি দেশের সাফল্য সবচেয়ে বেশি, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম সিঙ্গাপুর। দেশটির মোট জনসংখ্যা বর্তমানে ৫ কোটি ৭০ লাখ। স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যান বলছে, সিঙ্গাপুরের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশই করোনা টিকার অন্তত প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন।

ads

সিঙ্গাপুরের কয়েকজন স্কুলশিক্ষার্থীর করোনায় আক্রান্ত হওয়র ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে সোমবার টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভাষণে সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লী হিসিয়েন লুং বলেন, ‘বিষয়টি উদ্বেগজনক। ইতোমধ্যে আমরা দেশের অধিকাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে পেরেছি; সংক্রমণ পরিস্থিতিও অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আছে। এটি যেন আর না বাড়তে পারে সেজন্য টিকাদানের পাশাপাশি ট্রেসিং, টেস্টিং ও আইসোলেশন প্রক্রিয়ায় আমাদের মনযোগ দেওয়া প্রয়োজন এবং এই কাজগুলো এখন থেকেই শুরু করা উচিত।’

সিঙ্গাপুরের জাতীয় দিবস ৯ আগস্ট। ভাষণে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলতি বছরের জাতীয় দিবসের আগেই দেশের সব প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক যেন টিকার অন্তত প্রথম ডোজ লাভে সক্ষম হন, সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।

সিঙ্গাপুরে টিকাদান কর্মসূচিতে এ পর্যন্ত ব্যবহার হয়েছে ফাইজার-বায়োএনটেক ও মডার্নার করোনা টিকা। তবে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী অং ইয়ে কুং বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ পর্যন্ত যে করোনা টিকাগুলোকে জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে, সেগুলোও এখন থেকে টিকাদান কর্মসূচিতে ব্যবহার করা হবে।

অর্থাৎ, ফাইজার-বায়োএনটেক ও মডার্নার পাশাপাশি জনসন অ্যান্ড জনসন, অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও সিনোফার্মের করোনা টিকাও এখন থেকে গ্রহণ করতের পারবেন টিকা নিতে ইচ্ছুকরা।

অং ইয়ে কুং আরো জানান, তারা এখন চীনের অপর করোনাটিকা সিনোভ্যাকের স্বীকৃতির জন্য অপেক্ষা করছেন। দেশটিতে বর্তমানে ২ লাখ ডোজ সিনোভ্যাক টিকা মজুত আছে, কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখন পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজনে এই টিকাটির ব্যবহার অনুমোদন না করায় টিকাদান কর্মসূচিতে তারা সিনোভ্যাকের ডোজগুলো ব্যবহার করতে পারছেন না।

ad

পাঠকের মতামত